নতুন স্টপেজে বাস থামে না
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
রাজধানীজুড়ে যাত্রী ওঠানামার জন্য নতুন করে বাস স্টপেজ করা হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাস এবং যাত্রীরা এখনো তাতে অভ্যস্ত হননি। বাসগুলো নির্ধারিত জায়গায় না থেমে আগের মতোই মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে যাত্রী ওঠানামার কাজ করছে। ফলে বিশৃঙ্খল অবস্থা আগের মতোই রয়ে গেছে। গতকাল মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে পল্টন-শাহবাগ হয়ে চলমান গাড়িগুলোকে দেখা গেছে শাপলা চত্বর থেকেই যাত্রী উঠাচ্ছে। চত্বরের একটু সামনেই করা হয়েছে নতুন বাস স্টপেজ। তবে কেউ সেখানে অপেক্ষা করেন না। সবাই শাপলা চত্বর থেকেই অনিরাপদে গাড়িতে উঠছেন। যদিও নতুন বাস স্টপেজের সাইনবোর্ড অনেকের চোখে পড়ছে না। কারণ, সাইনবোর্ডের আশপাশে হকাররা বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ফলে যাত্রীরা রাস্তার মধ্যেই গাড়িতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে বাংলা মোটর মোড়ের পুলিশ বক্স থেকে প্রায় ৫০-৬০ মিটার দূরে পূর্ব পাশে বাস স্টপেজ শুরু। ২০ মিটার জায়গাজুড়ে স্টপেজটি। সেখানে ফুটপাথে নির্মাণ করা হয়েছে যাত্রীছাউনি। সরেজমিন দেখা যায়, যাত্রী বা বাস চালকরা আগের জায়গায়ই দাঁড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে বাস কিংবা যাত্রীদের সচেতন করতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকেও তাড়া দিতে দেখা যায়নি। মোড়ে এসে বাসগুলোর মধ্যে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতা আগের মতোই আছে।
এই মোড়ে বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বলেন, নতুন বাস স্টপেজ দেয়া আছে, কিন্তু কোনো নির্দেশনা নেই। এ কারণে আমরা জানিই না নতুন বাস স্টপেজ আছে। আর পুলিশের পক্ষ থেকেও এখানে বাস না থামানো বা যাত্রীদের নতুন বাস স্টপেজ নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা দেখিনি। বাংলা মোটর মোড়ে আরেকটি ট্রাফিক সাইনবোর্ডে ‘সামনে বাস স্টপেজ’ এমন নির্দেশিকা থাকা দরকার ছিল বলে যাত্রীরা মনে করেন।
বাংলা মোটর পুলিশ বক্সের কাছে কর্তব্যরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট মো: মোরশেদ বলেন, বাসগুলো নতুন স্টপেজে দাঁড়ানোর জন্য এখনো অভ্যস্ত হয়নি। আমরা স্টপেজ অনুযায়ী বাস থামানোর চেষ্টা করছি। ট্রাফিক পুলিশের নিয়মিত ফোর্স দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা আনা যায় না। আমরা বাসগুলো আরো সামনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু বাসগুলো কিছুতেই নিয়ম মানছে না। যাত্রী ও বাসগুলো তাদের পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারছে না। পুলিশ বক্সের সামনেই যাত্রী নামাচ্ছে এবং তুলছে। ব্যস্ততম এই মোড়ে যাত্রী ও বাসের জট এড়াতে ওই জায়গায় বাস স্টপেজ করা হয়েছে। আমরা বাসগুলোকে গেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি; কিন্তু এখন ওরা আমাদের দেখে গেট বন্ধ রাখে, অন্য সময় গেট খোলাই রাখে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরুণরা কাজে সহযোগিতা করায় তাদের কাজ আরো সহজ হয়েছে। এখন স্বেচ্ছাসেবীরা কথা বললে শুনছেন। কিছু দিন এভাবে চললে মানুষ নিয়ম মানতে অভ্যস্ত হবে।